যুগটাই এমন যে, ডিজিটাল ডিভাইস ছাড়া আপনি অচল আর তাই তো সবার হাতে হাতেই স্মার্টফোন, ট্যাবলেট পিসি, নেটবুক বা ল্যাপটপ। এই বহনযোগ্য ডিভাইস গুলোর ব্যাবহারেই সবাই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। একারনেই বেশ জনপ্রিয় ডেস্কটপ পিসির জায়গা দখল করেছে ল্যাপটপ তার সর্বত্র বহনযোগ্যতা ও গতিশীলতা দিয়ে।
ল্যাপটপ ইউজারদের সার্বক্ষণিক চিন্তা থাকে ল্যাপটপের চার্জের স্থায়িত্ব নিয়ে। এক গাদা কাজের মধ্যে ল্যাপটপের চার্জ যদি ফুরিয়ে যায় এটা নিয়ে চিন্তায় ব্যতিব্যস্ত থাকতে হয়। সবসময় তো আর ল্যাপটপ চার্জে লাগিয়ে রাখা যায়না, আবার সবজায়গায় পাওয়ার সকেটও পাওয়া যায়না। ল্যাপটপ ব্যবহারে আমাদের প্রায়শঃই এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাহলে কী করনীয় ?
তাইতো আজ আমি কিছু উপায় বলছি নিচে
১. একটি ল্যাপটপ অনেক বেশি কার্যক্ষম থাকে যখন এটি অপেক্ষাকৃতভাবে ঠাণ্ডা থাকে, প্রচণ্ড গরম না হয়। ল্যাপটপ যত বেশি গরম হবে, তত বেশী ইন্টারনাল ফ্যানগুলোর ঘূর্ণন হবে, ততো বেশী ব্যাটারির চার্জ ব্যয় হবে। তাই ল্যাপটপ কুলার বা ল্যাপটপ স্ট্যান্ড ব্যাবহার করুন।
২. সিডি বা ডিভিডি ড্রাইভ অনেক বেশী চার্জ কনজিউম করে। তাই, সিডি বা ডিভিডি ড্রাইভের পরিবর্তে ল্যাপটপের হার্ড ড্রাইভ বেশী বেশী ব্যবহার করুন। সিডি বা ডিভিডি ড্রাইভের মধ্যে কোন সিডি বা ডিভিডি কাজ ব্যতীত অহেতুক ড্রাইভে রাখবেন না, কারন এতেও চার্জ কনজিউম হয়।
৩. যদি প্রয়োজন না হয়, তবে ওয়াইফাই (WiFi) অফ রাখুন। ওয়াইফাই সুইচ বা ওয়াইফাই সেটিংস থেকে অফ করতে পারবেন।
৪. ল্যাপটপের ইউএসবি পোর্টে প্রয়োজন ব্যতীত এক্সটারনাল ডিভাইস লাগিয়ে রাখবেন না। এক্সটারনাল যে কোন ডিভাইস লাগিয়ে রাখলে তা প্রচুর চার্জ কনজিউম করে, তাই কাজ শেষ হলেই এক্সটারনাল ডিভাইস খুলে ফেলুন।
৫. ব্যাকগ্রাউন্ডে রানিং প্রোগ্রাম গুলো সি.পি.ইউ এর উপর অতিরিক্ত লোড সৃষ্টি করে, ফলে ব্যাটারি চার্জ ও অনেক ব্যয় হয়। তাই যে ব্যাকগ্রাউন্ড প্রোগ্রামগুলো অত্যন্ত প্রয়োজন নয় সেগুলো শাট ডাউন করে দিন।
৬. ল্যাপটপ বন্ধ করার পর ১০-১৫ মিনিট বাইরেই রাখুন, সাথে সাথে ব্যাগে না ঢুকিয়ে। এতে ব্যাটারি ও ল্যাপটপ ইন্টারনাল দ্রুত ঠাণ্ডা হতে পারে।
৭. (এই ভুলটি আমরা অনেক সময়ই করে থাকি) ল্যাপটপকে ওভারচার্জ করা যাবে না। আবার ল্যাপটপ ব্যাটারিকে একদম চার্জশুন্যও করা যাবে না। ব্যাটারিকে সবচেয়ে ভাল অবস্থায় রাখতে হলে চার্জ সম্পূর্ণ হয়ে গেলেই চার্জার কর্ড খুলে ফেলা উচিৎ। “ব্যাটারি ইউনিভার্সিটি”-র তথ্য অনুযায়ী ব্যাটারিকে সবচেয়ে ভালো রাখতে সর্বোচ্চ ৮০% চার্জ করে ব্যবহার এবং ৪০% চার্জ ব্যয় করেই পুনরায় চার্জ দিন।
পরিশেষে বলতে চাই,
একটি লিথিয়াম-আয়ন ল্যাপটপ ব্যাটারির সাধারন জীবনমেয়াদ হয় ১৮ মাস থেকে ২ বছর এবং তা একবারে ৩ থেকে ৫ ঘণ্টা চার্জ ব্যাকআপ দিতে পারে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতানুযায়ী এই ব্যাটারি আরো ভালো পারফরম্যান্স করে যদি এর ব্যবহারকারী এটাকে যত্ন করে ব্যাবহার করে।
Good One
ReplyDelete